রোজায় বেশিরভাগ রোজাদারের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। রোজায় আমরা এমন অনেক খাবার খাই যা মুখরোচক হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। ডুবো তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার পেটে গ্যাসের জন্য দায়ী। কারণ সারাদিন খালিপেটে থাকার পর এ ধরনের খাবার গ্রহণ করলে তা হজমে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই রোজায় গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। ভুল খাদ্যাভ্যাসের জন্য আপনার পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করার জন্য খেতে হবে কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পেট ঠান্ডা রাখে দই
ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে খেতে পারেন দই। এটি পেট ঠান্ড রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতেও কাজ করে দই। প্রতিদিন দই খেলে খাবার ভালোভাবে হজম হয়। সে কারণে পেটে গ্যাস জমতে পারে না। এক্ষেত্রে মিষ্টি দইয়ের বদলে টক দই বেশি কার্যকরী।
শসা খেলে মিলবে উপকার
গরমে উপকারী খাবার হলো শসা। প্রতিদিনের ইফতারে শসা রাখুন। কারণ এটি পেট ঠান্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী। শসায় আছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুই উপকারী উপাদান পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এটি শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ফলে দূরে থাকে পানিশূন্যতার মতো সমস্যা।
আদা ছাড়া আর কী!
পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর করতে যে আদা কার্যকরী একথা অনেকেই জানেন। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আদা চিবিয়ে রস খেলে পেটের গ্যাস দূর হয়। খেতে পারেন সামান্য লবণ মিশিয়েও। ইফতারে আদার শরবত খেতে পারলে সেটিও পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
কলাও কার্যকরী
রোজায় প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এটি গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। উপকারী এই ফল পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে কার্যকরী। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটে গ্যাস জমতে পারে না। কলায় আছে স্যলুবল ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখতে কাজ করে। ইফতার ও সাহরিতে একটি করে কলা খান। এতে পেট পরিষ্কার থাকবে।
পেঁপে রাখুন পাতে
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে পেঁপে। এতে আছে উপকারী এনজাইম পাপায়া যা হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী। ইফতারে একবাটি পাকা পেঁপে খান। পেঁপের জুস বা স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন। পাশাপাশি কাঁচা পেঁপের ভর্তা কিংবা তরকারিও খেতে পারেন।